On This Page

পরিমাপণ

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - পরিসংখ্যান - পরিসংখ্যান ১ম পত্র | NCTB BOOK

পরিমাপণ (Measurement)

পরিমাপণ হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো কিছুর পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এটি দৈর্ঘ্য, ওজন, সময়, তাপমাত্রা, এলাকা, আয়তন ইত্যাদির সঠিক পরিমাণ বের করার জন্য ব্যবহৃত হয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় এবং দৈনন্দিন জীবনে পরিমাপণের গুরুত্ব অপরিসীম।


পরিমাপণের উপাদান

১. পরিমাপ একক (Unit of Measurement):
প্রতিটি পরিমাপের নির্ধারিত একক থাকে, যা মূলত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ: মিটার (দৈর্ঘ্যের একক), কিলোগ্রাম (ওজনের একক), সেকেন্ড (সময়ের একক)।

২. যন্ত্রপাতি (Measuring Instrument):
সঠিক পরিমাপের জন্য নির্ভুল যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। যেমন, দৈর্ঘ্য মাপার জন্য স্কেল, ওজন মাপার জন্য ওজন মাপার যন্ত্র।

৩. স্ট্যান্ডার্ড (Standard):
প্রতিটি পরিমাপের একটি নির্ধারিত মান থাকে, যাকে স্ট্যান্ডার্ড বলা হয়। এই মান সঠিকতা নিশ্চিত করে।


পরিমাপণের ধরণ

১. সরাসরি পরিমাপণ (Direct Measurement):
যেখানে কোনো পরিমাপ সরাসরি যন্ত্র ব্যবহার করে নির্ধারণ করা হয়।
উদাহরণ: থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মাপা।

২. অপ্রত্যক্ষ পরিমাপণ (Indirect Measurement):
যখন সরাসরি পরিমাপ সম্ভব হয় না এবং কোনো সূত্র বা গাণিতিক উপায় ব্যবহার করে পরিমাপ করা হয়।
উদাহরণ: পিরামিডের উচ্চতা নির্ধারণ করতে তার ছায়ার দৈর্ঘ্য মাপা।


পরিমাপণের গুরুত্ব

১. প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের সঠিক মূল্যায়ন।
২. গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা।
৩. প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।
৪. দৈনন্দিন কাজের সঠিকতা ও দক্ষতা।


সারসংক্ষেপ

পরিমাপণ হলো দৈনন্দিন জীবন থেকে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই অপরিহার্য একটি পদ্ধতি। সঠিক পরিমাপণ সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত্তি গঠন করে।

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion

Promotion